গবেষণা প্রস্তাব কি? গবেষণা প্রস্তাব লেখার নিয়ম

গবেষণা প্রস্তাব কি

গবেষণা প্রস্তাব হলো গবেষকের সম্ভাব্য গবেষণা পদ্ধতির একটি বিবরণ। এটির মাধ্যমে রিসার্চার তার গবেষণায় কী নিয়ে গবেষণা করবে, কেন তা গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে গবেষণা কার্য পরিচালিত হবে তার বর্ণনা থাকে।
 
গবেষণা প্রস্তাব মূলত স্পনসরশিপের জন্য করা হয়। প্রস্তাবের মধ্যে গবেষণার ব্যয়, সময়, এবং সম্ভাব্য ফলাফল মূল্যায়নের একটি ইঙ্গিত দেওয়া থাকে। গবেষণা প্রস্তাবটি যখন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী করবে, তখন এর শব্দের সংখ্যা সাধারণত ২ হাজার থেকে ৩ হাজারের মধ্যে রাখতে হয় এবং পাতার সংখ্যা ৪-৭ হওয়া বাঞ্চনীয়।

তবে এটি যদি উচ্চতর গবেষণা বা পিএইচডির জন্য তৈরি করার জন্য হয়, তখন গবেষনা প্রস্তাবের শব্দে সংখ্যা এবং পাতার সংখ্যা একটু বেশি হওয়া দরকার।

গবেষণা প্রস্তাব লেখার পদ্ধতি

 প্রাথমিকভাবে গবেষণা প্রস্তাবে মোট তিনটি মৈালিক অংশ থাকে। 

১. আখ্যানপত্র (Title Page)  ও সূচিপত্র (Content) 
২. প্রস্তাবনার বিভিন্ন দিক। এটি গবেষণা প্রস্তাবের মূল অংশ
৩. গ্রন্থপঞ্জি বা তথ্যপঞ্জি

গবেষণা প্রস্তাব কি? গবেষণা প্রস্তাব লেখার নিয়ম, azhar bd academy

প্রথমত, টাইটেল পেজ বা আখ্যানপত্র হলো গবেষণা প্রস্তাবের প্রথম পৃষ্ঠা। এর মধ্যে থাকবে,


  • গবেষণা প্রকল্পের প্রস্তাবিত শিরোনাম
  • গবেষকের নাম
  • সুপারভাইজারের নাম
  • গবেষকের প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ
  • প্রস্তাবের তারিখ
দ্বিতীয়ত, গবেষণা প্রস্তাবের মূল অংশে শিরোনাম থেকে শুরু করে উপসংহার পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। 



গবেষণা প্রস্তাবের মূল অংশে
একটি গবেষণা প্রস্তাবের মূল অংশে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিন্যাস করা থাকে।

১. শিরোনাম (Title)
২. ভূমিকা (Introduction)
৩. পটভূমি এবং তাৎপর্য (Background and Significance)
৪. সমস্যা বিবরণ (Statement of the problem)
৫. গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Research objectives and purpose)
৬. গবেষণাপত্র পর্যলোচনা (Literature Review)
৭. পরিধি এবং সীমাবদ্ধতা (Scope and Limitation)
৮. গবেষণা পদ্ধতি (Methodology)
৯. বাজেট (Budget)
১০. উপসংহার (Conclusion)

তৃতীয়ত, গবেষণা প্রস্তাবের একেবারে শেষ অংশে থাকে একটি গ্রন্তপঞ্জি বা তথ্যপঞ্জি (Bibliography)।


 

Do not enter any harmful link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Do not enter any harmful link

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন