অসলো চুক্তি

অসলো শান্তি চুক্তি ছিল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ। প্রকৃতপক্ষে, অসলো চুক্তি ছিল ইসরায়েল সরকার এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক চুক্তির একটি সেট। 

অসলো চুক্তি কি

১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ সালে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) প্রধান মাহমুদ আব্বাস অন্তর্বর্তী স্ব-সরকারের ব্যবস্থার নীতির একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা ‘‘অসলো চুক্তি’’ নামে পরিচিত।

প্রথম অসলো শান্তি চুক্তিটি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাস্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুমোদিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় অসলো চুক্তিটি মিশরে ১৯৯৫ সালে অনুমোদন লাভ করে।

অসলো চুক্তি, ‍azhar bd academy
image source:.flickr.com

অসলো চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েল পিএলওকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রহণ করে। পিএলও সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করে এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। উভয় পক্ষই সম্মত হয় যে একটি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রতিষ্ঠিত হবে যেটি পাঁচ বছরের মেয়াদে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।


এছাড়া সীমান্ত, শরণার্থী সমস্যা এবং জেরুজালেমের বিষয়ে স্থায়ী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসন অসলো চুক্তি বাস্তবায়নে সীমিত ভূমিকা পালন করলেও, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য বিপুল পরিমাণ সময় এবং সম্পদ বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা দেয়। ক্লিনটনের ক্ষমতার শেষে, অসলো চুক্তির শান্তি প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে যায় এবং ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সহিংসতার আবারো একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়।

যদিও, অসলো চুক্তিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ছিল যে পিএলও আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছিল এবং ইসরায়েল, পালাক্রমে, ফিলিস্তিনিদের গাজা এবং পশ্চিম তীরে (তথাকথিত অধিকৃত অঞ্চল) সীমিত স্ব-শাসনের অনুমতি দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তি অনুমোদনে কয়েক দশকের আরব ইসরাইল সংঘাতের অবসান ঘটাবে বলে মনে করা হয়।

Do not enter any harmful link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Do not enter any harmful link

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন