শিক্ষানীতি কাকে বলে? জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর বৈশিষ্ট্য

শিক্ষানীতি কাকে বলে?

শিক্ষানীতি বলতে আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে তার একটি নীতি প্রণয়ন করাকে বোঝায়।  জাতীয় শিক্ষানীতি হল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন ও মানোন্নয়নের জন্য একটি সুগঠিত কাঠামো প্রণয়ন নীতি। 

প্রতিটি দেশের একটি শিক্ষানীতি থাকে যেখানে রাষ্ট্রের ভবিষ্যত শিক্ষা ব্যবস্থা কী হবে, কেমন হবে তার একটি নীতি নির্ধারণ বর্ণনা করা হয়। প্রতি বছর শিক্ষানীতির অনেক কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন হচ্ছে। যেহেতু, শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তন হচ্ছে। 

স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশে অনেকগুলো শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয় ২০১০ সালে। যদিও এর বাস্তবায়ন এখনও পুরোপুরি করা যায়নি। কারণ হিসেবে বলা যায় অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট এবং আন্তরিকতার অভাব।

শিক্ষানীতি কাকে বলে? জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর বৈশিষ্ট্য, azhar bd academy

বর্তমানে শিক্ষার স্তর চারটি বিদ্যামান। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চতর স্তর। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুসারে শিক্ষার স্তর হওয়া কথা ছিল তিনটি। প্রাধমিক স্তর হবে প্রাথম শ্রেণী থেকে অস্টম শ্রেণী, মাধ্যমিক স্তর হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত, এবং তৃতীয় স্তর হবে উচ্চতর শিক্ষা (ডিগ্রি, স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি, এম,ফিল ইত্যাদি)।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর বৈশিষ্ট্য

জাতীয় শিক্ষানীতির ৪ টি মৌলিক বৈশিষ্ট্য

১. এর শিক্ষা দর্শন (জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি) থাকবে।
২. এতে জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।
৩. জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটি প্রণীত ও গৃহীত হবে।
৪. পূর্ব অভিজ্ঞতা সমূহ এখানে ব্যবহৃত হবে।

এ সকল মানদন্ডে ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিলে প্রণীত হয় ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’’। এই শিক্ষা নীতি প্রণয়নের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধরী এবং ড. খলীকুজ্জামান আহমদ। সর্বমেোট  ২৮ টি অধ্যায় ও দুটি সংযোজনী নিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ প্রণীত হয়। শিক্ষা নীতির অধ্যায়েসমূহে শিক্ষার বিভিন্ন স্তর, ধারা,ক্ষেত্র, পাঠক্রম, নারী শিক্ষা, শিক্ষার্থী কল্যান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার ইত্যাদি স্তর নির্বিশেষে গৃহিতব্য পদক্ষেপ।

জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম অধ্যায়টি শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলিত করে যা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর মূল ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন ও অর্জনের রক্ষ্যে পরবর্তীতে আরো ২৭ টি অধ্যায়ে শিক্ষার বিভিন্ন নীতি, পদ্ধতি, দর্শন, সুপারিশ ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়।

Do not enter any harmful link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Do not enter any harmful link

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন